ঝুমকি বসু
দুর্গাপুজো মানেই সারাদিন ঘোরাঘুরি। তবে করোনাকালে কিছুটা তার ব্যত্যয় ঘটবে বৈকি! সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা থাকছেই। তাই সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। তাছাড়া এখনকার আবহাওয়াটাই অদ্ভুত। এই প্রচণ্ড গরম তো, একটু পরেই ঝুমবৃষ্টি। আবার রাতের প্রথম ভাগে গরম তো শেষ ভাগে ঠান্ডা। গরমে যেন শরীর জলশূন্য না হয়ে যায়, সেজন্য বেশি করে তরল পানীয় খেতে হবে। একটানা না হেঁটে মাঝেমধ্যে একটু বসে নিতে হবে। তাহলে বেশি ক্লান্ত হবেন না। আবার বৃষ্টিতে ভিজে যেন জ্বর না আসে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গে আছে করোনাভাইরাসের ভয়। তাই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।
শরীরে জলস্বল্পতা, সর্দি-কাশি ও জ্বর, পেটের পীড়া
পুজোর দিনগুলোতে বেশির ভাগ সময়ই মূলত বাইরে থাকা হয়। গরমের কারণে শরীরে জলস্বল্পতা হতে পারে। আবার বৃষ্টিতে ভিজলে সর্দিকাশির সমস্যা হতে পারে। তাই সাবধানে থাকতে হতে আর সঙ্গে নিতে হবে ছাতা। আর ডায়াবেটিস রোগী ও শিশুদের প্রতি দিতে হবে বিশেষ নজর। কেউ কেউ ঘোরাঘুরির সময় বাইরের খাবার খেয়ে থাকেন। এতে এমনিতেই পেটের পীড়া হয়। আর এ বছর করোনার কারণে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।
সঙ্গে রাখতে হবে পর্যাপ্ত ও বিশুদ্ধ জল
গরমে শরীর থেকে প্রচুর জল বের হয়ে যায় বলে জলস্বল্পতা দেখা দেয়। সাধারণত এর ফলে শরীরের রক্তচাপ কমে যায়, দুর্বল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। জলস্বল্পতা গরমের খুবই সাধারণ সমস্যা হলেও অবহেলা করলে তা মারাত্মক হয়ে যেতে পারে। এ বিপদ থেকে মুক্ত থাকতে প্রচুর জল পান করতে হবে। তবে এই জল বিশুদ্ধ না হলে, তা থেকে জলবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। করোনাকালে বাইরের জল খাবেন না। নিজের সাথে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ জলের বোতল রাখুন।
মাস্ক যেন অবশ্যই থাকে
যতই সাজুন আর বাইরে পুজো দেখতে বের হোন, মুখে অবশ্যই মাস্ক যেন থাকে। এছাড়া অতিরীক্ত ভিড় এবং লোক সমাগম এড়িয়ে চলুন।
বাড়ি ফিরে
বাড়িতে ফিরেই প্রথমে হাত স্যানিটাইজ করুন। তারপর যত দ্রুত সম্ভব স্নান করে নিন। পরনের কাপড় সাবান জলে ভিজিয়ে রাখুন। রোদে ঘুরে বাড়ি এসেই ঠান্ডা জল খাবেন না। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর খাবেন, তাহলে সর্দি বা ঠান্ডা লাগার শঙ্কা থাকবে না। আর বৃষ্টিতে ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব ভেজা কাপড় পরিবর্তন করে ফেলতে হবে। বাইরে থেকে এসে বিভিন্ন ফলের জুস বা লেবুর শরবত খেতে পারেন। এতে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে বের হয়ে যাওয়া জলের ঘাটতি পূরণ হবে।