ঝুমকি বসু

পুজোর পোশাকে পুজোর থিম। এ নিয়ে কিছু কিছু কাজ হয়েছিল আগেও। তবে তা ছিল সীমিত। তখন থিম হিসেবে দেওয়া হতো রংয়ের প্রাধান্য। কয়েক বছর আগেও সাদা-লাল, অফহোয়াইট-মেরুনকে থিম ভেবে পোশাকের নকশা করা হতো পুজোতে। হালআমলে বেশকিছু ফ্যাশন হাউস এবং অনলাইন শপ পোশাকের নকশায় কিভাবে পুজোর থিম ও মোটিফ বসানো যায়, রীতিমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে তা নিয়ে।

পুজোর বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মোটিফে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, সুতোর নকশা, হ্যান্ডপেইন্টসহ নানা মাধ্যম। দেবীর অবয়ব থেকে শুরু করে ত্রিশূল, শঙ্খ, মঙ্গলঘট, আরতি, রাধা-কৃষ্ণ, মধুবনি, মন্দির, সিঁদূর-শাঁখা, ওঁম, খড়্‌গ, স্বস্তিকা, পদ্ম, শিউলি, গণেশের অবয়বসহ বিভিন্ন মোটিফ পোশাকে ফুটে উঠেছে। এসব মোটিফ ব্যবহার করা হচ্ছে শাড়ি, কুর্তি, ওড়না, পাঞ্জাবি এবং শিশুদের পোশাকে।

রঙের ক্ষেত্রে থাকছে লাল, সাদা, অফহোয়াইট, মেরুন-গেরুয়ার পাশাপাশি কমলা, ফিরোজা, সবুজ, নীল, আকাশি রঙের ব্যবহার। মোট কথা, ষষ্ঠী থেকে দশমী, বোধন থেকে সিঁদূর খেলা, ধুনুচি নাচ থেকে প্রসাদ বিতরণ, সকালের অঞ্জলি থেকে সন্ধ্যের আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে মানানসই সব ধরনের রং থাকছে পুজোর পোশাকে। যুগল বা পারিবারিক পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে একইরকম থিম। পোশাকে সুতির পাশাপাশি ব্যবহার হচ্ছে সিল্ক, মসলিন, এন্ডি এবং কাতান ফ্যাব্রিক্স।