অরবিন্দ চক্রবর্তী
বন্ধু পেল সোনার সিংহাসন
শান্তিসদনে করতালিমুখর আমি।
একদল ফেউ শুরু করল গমগম হাততালি
উড়ে গেল অসংখ্য গৃহপালিত কবুতর
গালিচা রাঙানো বিচিত্র ফুল
আহা মনোরম দৃশ্য!
বুকের ভেতরে আরেক সৌধ জেগে উঠল।
আসীন বন্ধু পা দোলাচ্ছে
আমার লাজুক মন বিব্রত
আহারে বন্ধুটির আজও শিশুসারল্য!
পারিষেদ বন্ধুর প্রতি ক্ষমতা সাহেবদের স্যালুট,
সৈনিকের ট্রিগার থেকে অনর্গল বেরোয় ঢিশা ঢিশা
আমার কপালে টিন দস্তা পাটকেল লাগে।
একদিন, বন্ধুর হাত পাব বলে প্রধান ফটকে জনমানুষ হয়ে দাঁড়ালাম
নিরাপত্তাজনিত প্রহরীর নিষেধ এলো।
বন্ধু আমার নাকের ডগার পরে গমনাগমন করে, বহু হাতছানি পায়।
যদিও অসংখ্য হাতের সাড়া দেয় সে হাত দিয়ে,
অর্থাৎ, হাতের বদলা হাত
মানুষের মুখ দেখার ফুরসত যে তার নাই।
দেখা না দেখার আড়ালে আমি একজন
কুশীলবের চলে যাওয়ার ভঙ্গি আর সিঁড়ি দেখি।